সরকারি চাকরী আবেদন করার ৫টি উপায় জানুন

সরকারি চাকরী করার জন্য বর্তমানে প্রায় সকল মানুষ ফরম পুরণ করার জন্য ভির জমায় কম্পিউটারের দোকানে। যদি আপনার সঠিক নিয়ম জানা থাকে তাহলে ঘরে বসেই আপনি আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন।

আজকের এই প্রতিবেদনে আমি কিভাবে চাকরী আবেদন করবেন। এবং কোন পদ্ধতিতে আবেদন করলে আপনি পরিক্ষায় টিকতে পারবে সেই বিষয় গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করবো।

 

সরকারি চাকরী
আপনার পুরো সিভির একটা সংক্ষিপ্তরূপ কিংবা আপনি কোন পদে আবেদন করছেন এবং এইচআর ম্যানেজারকে আপনার সিভিটি দেখতে বাধ্য বা আকৃষ্ট করার জন্য আধুনিক যুগের অন্যতম হাতিয়ার হলো “চাকরির আবেদনপত্র” বা ‘কভার লেটার’। একটি সরকারি চাকরী আবেদনের জন্য সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি কভার লেটারও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি সঠিকভাবে পূরণকৃত সিভি যেভাবে আপনাকে উপস্থাপন করে ঠিক তেমনি ভাবে সিভির সাথে একটি কভার লেটার করতে পারে আপনাকে আরো পারফেক্ট। একটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি আপনাকে জানতে পারবে সিভির মাধ্যমে তবে কভার লেটার থেকে নিজেকে আরও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার বিশেষ কিছু কৌশল আছে।

সরকারি চাকরী আবেদন করার ৫টি উপায় জানুন

কিভাবে আপনি সরকারি চাকরী আবেদন করতে পারেন সেইট আজকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখিয়ে দেওয়া চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

 

১. কভার লেটার লিখতে হবে

২. নিজের একটি সিভি তৈরি করতে হবে

৩. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে লিখুন

৪. সাবজেক্ট উল্লেখ করতে হবে

৫. দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখুন

উপরের এই কয়েকটি ধাপে আপনি সরকারি চাকরী ফরম পুরণ করতে পারেন। এছাড়াও আরো ছোট ছোট কিছু নিময় কানুন আছে যেগুলো ফলো করা আপনার ব্যক্তিগত। নিচে এই কয়েকটি বিষয় নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

 

১. কভার লেটার লিখতে হবে

সরকারি চাকরী ফরম পুরণ করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথমেই যেটি করতে হবে সেটি হলো কভার লেটার লিখতে হবে। এই লেটার না লিখলে আপনি ফরম পুরণ করতে পারবেন না।

 

সরকারি চাকরী
প্রথমেই আপনার কভার লেটার লেখার উদ্দেশ্য তা পরিষ্কার করবেন। আপনি কোথা থেকে চাকরির বিজ্ঞপ্তিটি পেয়েছেন, তা উল্লেখ করলে আরও ভালো হবে। এরপর আপনি কেন এ চাকরির জন্য যথার্থ তা লিখুন সংক্ষেপে। এ অংশে আপনার দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে লিখুন।

 

২. নিজের একটি সিভি তৈরি করতে হবে

সরকারি চাকরী ফরম পূরণ করার সময় বা আবেদন করার সময় অবশ্যই সিভি জমা দিতে হবে। কারণ সিভির মাধ্যমেই আপনাকে জাচায় করা হবে। তাই এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

সুন্দর মতো সিভি তৈরি করে সেটি কভার লেটারের মধ্যে নিয়ে দিবেন। আর অবশ্যই সিভির ভেতরে আপনার সকল প্রকার তথ্য থাকতে হবে। আবেদন করার সময় এই বিষয়টি লক্ষ রখবেন।

 

৩. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে লিখুন

আবেদন করার সময় আপনাকে অবশ্যই ঐ প্রতিষ্টান সম্পর্কে কিছু লিখতে হবে সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপর্ণ।

আমাদের মধ্যে অনেকই এই ভুলটা করে থাকে। অনেকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যেই প্রতিষ্টানের জন্য সেই প্রতিষ্টান সম্পর্কে কিছু লিখি না। তাই আবেদন করার সময় নিয়োগ প্রতিষ্টানির জাবতীয় তথ্য আপনার মুখস্ত থাকতে হবে এবং সেটি উল্লেখ করে লিখে দিতে হবে।

 

৪. সাবজেক্ট উল্লেখ করতে হবে

সরকারি চাকরী কোন পজিশনের জন্য আপনি আবেদন করছেন সেই সাবজেক্টটা লেখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝে নির্বাচন কমিটি এই ছোট খাটো বিষয় গুলো লক্ষ করে। তাই সাবজেক্ট এর কথা উল্লেখ করবেন আবেদন করার সময়।

 

৫. দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখুন

আবেদন করার সময় অবশ্যই আপনার দক্ষতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখবেন। কারণ এটি না লিখলে আপনাকে সুযোগ দেওয়া নাও হতে পারে। কারণ যোগ্যতা অনুযায়ী নির্বাচন কমিটি আপনাকে বাছায় করবে।

 

সরকারি চাকরী
শিক্ষার দক্ষতার জন্য কল করার জন্য অনেক পদ রয়েছে: কলেজের অধ্যাপক, বেসরকারী শিক্ষক, ক্যাম্প কাউন্সিলারস, পার্ক রেঞ্জার্স এবং সিপিআর প্রশিক্ষকগণ শুধু কিছু উদাহরণ তালিকাভুক্ত করতে শেখান। কিন্তু যখন বেশিরভাগ মানুষ “শিক্ষক” বলে, তখন তাদের অর্থ এমন কেউ যিনি প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিশুকে শিক্ষা দেন।

 

উপসংহার

উপরের নিয়ম গুলো মেনে যদি আপনি আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই আপনি আবেদন করার সফল হবেন। তো আজকে এই পর্যন্তই। আশা করি আমার এই প্রতিবেদন আপনার অনেক উপকারে আসবে।

এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের জন্য আমাদের এই ওয়েব সাইটের সাথেই থাকবেন। মূল্যবান সময় ব্যায় করে প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে অসখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *