প্রাইভেট কম্পানি তে চাকরির ৫টি অসুবিধা
প্রাইভেট কম্পানি তে অনেকেই চাকরি করে থাকে। কিন্তু প্রাইফেট কম্পানিতে চাকরি করতে হলে মাঝে মধ্যে অনেক সময় অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়।
Table of Contents
প্রাইভেট কম্পানি বলতে কি বুঝি?
সাধারণত আমরা সরকার প্রদত্ত যে প্রতিষ্ঠান গুলো আছে সেগুলোকে গভারমেন্ট জব বলে থাকি। আর যে কম্পানি গুলো সরকার প্রদত্ত নয় সেগুলোকে বেসরকারী কম্পানি বলা হয়। আশা করি সকলেই এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
আমরা অনেকেই বেসরকারী অফিসে কাজ করে থাকি। বেসরকারী অফিসে কাজ করে আমরা অনকে সময় অনেক অসুবিধার সম্মুখিন হয়ে থাকি। আসলে বেসরকারী অফিসে কাজ করলে এমন হবেই।
আজকের এই প্রতিবেদনে আমি বেসরকারী অফিসে কাজ করার ফলে যে অসুবিধা গুলো হয় সেই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। তাহলে দেরি না করে চলুন কয়েকটি অসুবিধা জেনে নেওয়া যাক।
প্রাইভেট কম্পানি তে চাকরির ৫টি অসুবিধা
১. চাকরীরর নিরাপত্তা নিয়ে সংসয় থাকে
২. বেতন নিয়ে অসুবিধায় পড়তে হয়
৩. প্রচুর পরিমানের প্ররিশ্রম করতে হয়
৪. বাড়তি টাকা আয় করা যায় না
৫. শেষ বয়সে অসুবিধায় বড়তে হয়
উপরের এই কয়েকটি বিষয় আমরা লক্ষ করি বেসরকারী অফিস গুলোতে কাজ করলে। তবে এর মধ্যেও কিছু সুবিধাও রয়েছে। আজকে আমরা সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবো না। নিচে উপরের কয়েকটি অসুবিধা গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
১. চাকরীরর নিরাপত্তা নিয়ে সংসয় থাকে
বেসরকারী অফিসে চাকরী করলে চাকরীর কোনো নিরাপত্তা থাকে না আর কম্পানি যখন কোনো অসুবিধায় পড়ে তখন আপনার চাকরী চলে জাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এভাবে আপনার বেসরকারী অফিসে চাকরী করার কোনো নিরাপত্তা থাকে না।
গত বছর আমাদের দেশ সহ প্রায় পৃথিবীর সকল দেহে মহামারি করোনা ভাইরাস দেখা দিয়েছিলো। যারা ফলে বেসরকারী অফিসগুলোতে যারা কাজ করতো তারা যে সমস্যায় পড়েছিলেন সেটি বলার মতো নয়।
তাদের বেতনের টাকা থেকে শুরু করে ছিলো চাকরী হাড়ানোর সম্ভাবনা। অথচ যারা সরকারী অফিসে চাকরি করেছে তাদের তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়নি। মাস শেষে তারা তাদের বেতন ঠিকই পেয়েছেন। তাই বেসরকারী চাকরীতে কোনো নিরাপত্তা নেই বলে আমি মনে করি।
২. বেতন নিয়ে অসুবিধায় পড়তে হয়
বেসরকারি কম্পানি গুলোতে স্বাধারণত বেতন নিয়ে অসুবিধায় পড়তে হয়। এই পয়েন্টির প্রমান আমি অনেকবার পেয়েছি। আর এটাও প্রামাণিত যে বেসরকারি অফিসে মাসের অর্ধেক হয়ে যাওয়ার পরও বেতন দেওয়া হয়না। আর যদিও বেতন দেওয়া হয় তাও আবার সম্পূর্ণ টাকা দেওয়া হয় না।
অথচ সরকারী অফিস গুলোতে প্রতি মাসের শেষে সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। তাদের কোনো বেতন নিয়ে সমস্যা হয়না। আর যারা প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করে তাদের এই বিতন নিয়ে অসুবিধা হয়।
আমি বেশিরভাগ প্রাইভেট কম্পানির চাকুরিজীবিদেরকে দেখেছি যে, তারা এক মাসের বেতন আরেকমাসে পেয়ে থাকে। সরকারি চাকরির বেতন সময়মত পেলেও কম্পানির চাকরির বেতনগুলো অনেক দেরিতে পেয়ে থাকেন বেশির ভাগ সময়।
৩. প্রচুর পরিমানের প্ররিশ্রম করতে হয়
প্রাইভেট কম্পানি মানেই অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে আপনাকে। এখানে বসে বসে বেতন নেওয়ার কোন সুযোগ নেই বললেই চলে। আর প্রতিটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানই এর কর্মচারীর বেতন ও তাদের কাজের উপর নির্ভর করে চলে।
প্রত্যেক কর্মচারী কাজ করে কিভাবে তার কম্পানিকে ভালো করাতে পারবে এমন বিষয়গুলো অবশ্যই কর্মচারী ও মালিক পক্ষ উভয়েই দেখে থাকে। আর এখানে অনেক সময় আপনাকে সময়ের অতিরিক্ত সময় থাকতে হতে পারে।
৪. বাড়তি টাকা আয় করা যায় না
সকাল ৯টা থেকে অফিস টাইম শুরু হয় সাধারণত। এই জন্য অনেক সময় আপনাকে সকাল ৭টা থেকেই রেডি হয়ে বের হতে হবে। আবার অনেক সময় আপনার ৫টা বললেও সেটা রাত ৮টা বেজে যায়।
হয়তো বাসায় আসতে আসতে রাত ১০টা বেজে যাবে। বা যদি ৫টাতেও ছুটি হয় তাহলেও তো আপনার আসতে আসতে প্রায় রাত ৮টা বেজে যাবে। এই দিক থেকে বিবেচনা করলে আপনার বাড়তি অন্য কোন উপায়ে আয় করার কোন সুযোগ নেই।
৫. শেষ বয়সে অসুবিধায় বড়তে হয়
সরকারি চাকরি করার একটা বড় সুবিধা হলো যে, শেষ বয়সে পেনশানের টাকা পেয়ে সেটা দিয়ে কাজ করা যায় অথচ আপনি যদি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করেন তাহলে সেই সুযোগ আর থাকবে না।
এই বিষয়টার জন্যই অনেকেই প্রাইভেট কম্পানির মত প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি কেউ করতে চায় না। আসলে এটা আমাদের পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর অনেকাংশই নির্ভর করে থাকে।
উপসংহার কিছু পরামর্শ
বেসরকারি অফিসে চাকরি করলে যে শুধু অসুবিধায় হয় তেমন কিন্তু নয়। ছোট খাটো বিভিন্ন ধরনের সুবিধাও পাওয়া যায়। সময় হলে পরবর্তীতে বেসরকারি অফিসে চাকরি করার সুবিধা নিয়ো আলোচনা করবো।
আশা করি আমাদের এই প্রতিবেদনটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। আর নিয়োমিত চাকরির খবর পেতে হলে আমাদের এই ওয়েব সাইটের সাথেই সবসময় থাকবেন। ধন্যবাদ